সেঞ্চুরি করার পরে খুলনা টাইগার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত
৬০ বলে সমান চারটি বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারিতে ওই রান করেন গেমস ক্রিকেটের অধিনায়ক শান্ত। গতকাল ছাপিয়ে গেলেন সবকিছু। রাজশাহীর এই তরুণ খুলনার হয়ে বিপিএলে করলেন সেঞ্চুরি। ঢাকা প্লাটুনের ৪ উইকেটে করা ২০৫ রানকে পেছনে ফেলে খুলনা টাইগার্সকে জিতেয়েই মাঠ ছাড়লেন। ৫৭ বলে ৮ চারে ও ৭ ছয়ে ১১৫ রান করেন তিনি।
ঢাকার করা ২০৫ রানের জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন দুই ওপেনার শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দলীয় ৭০ রানে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হন মিরাজ। ২৫ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। রাইলি রুশো ১৭ বলে ২৩ রান করে শাদাবের বলে আরিফুলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেন। বাকি কাজটুকু করে মুশফিকুর রহিম। ১০ বলে ১৮ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৮.১ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ২০৭ রান করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে খুলনা।
সেরা চারে আগেই জায়গা করে নিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস, খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা প্লাটুন। গতকাল ছিল কোয়ালিফায়ারে ওঠার লড়াই। যারা শীর্ষ দুইয়ে থাকবে তারা খেলবে কোয়ালিফাই রাউন্ডে। তাদের মাঝে জয়ী দল সরাসরি খেলবে ফাইনালে। আর পরাজিত দল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে সেরা চারের তৃতীয় ও চতুর্থ দলের মধ্যকার খেলায় জয়ী দলের বিপক্ষে। গত তিন দিন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী কোয়ালিফাই রাউন্ড আকড়ে থাকলেও গতকাল পাল্টে গেল সব হিসাব। শীর্ষস্থান দখল করে নিলো খুলনা ও রাজশাহী। আর এলিমেনিটরে চলে গেল চট্টগ্রাম ও ঢাকা।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল ঢাকার ৩৫ রানে নেই ৩ উইকেট। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চোখে রীতিমতো সর্ষেফুল দেখছিল ঢাকা প্লাটুন। খুলনার বোলাররা শুরুতেই চেপে ধরেছিলেন তামিম-বিজয়দের। খুলনার শিবিরে তখন আনন্দের বন্যা। কে জানত, সেই আনন্দই পরে বিষাদে রূপ নেবে। দলের বড় বিপর্যয়ের মুহূর্তে অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়লেন মুমিনুল হক আর মেহেদী হাসান। মারকাট ব্যাটিংয়েই ১৫৩ রানের জুটিতে ভর করে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় সমান সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে ঢাকা।
আগের দিনই খুলনার দুই ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ আর মুশফিকুর ১৬১ রানের জুটি গড়েছিলেন। যেটা ছিল এবারের বিপিএলে যেকোনো উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড। এবার আরেকটু হলে সেই জুটিকে ছাড়িয়ে যেতেন মেহেদী-মুমিনুল। এবারের বিপিএলের দ্বিতীয় সেরা জুটিটা এখন তাদের।